Social media makes us dpressed

মোহাম্মদ হবলসের Lecture থেকে সংগৃহীত :

আমি সংক্ষিপ্ত না করে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি আপনাদের সাথে,হতাশা এবং অনান্য সমস্যা গুলি সম্পর্কে মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে বলতে চাই,আপনি আপনার নিজের মত জীবন-যাপন করুন,অন্যের জীবন অনুসরন করা থেকে বিরত থাকুন।এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা।আমরা অনেকে চিন্তা,দুঃখ-দর্দাশায় জর্জারিত।কারন আমরা এমনভাবে চলতে চাই যা আমাদের সাধ্যের বাইরে।আমরা আরেকজনের জীবন অনুসরন করতে চাই।আমরা আমাদের জীবনের বেশিভাগ সময় নষ্ট করি অন্যের জীবনের দিকে তাকিয়ে থেকে।আর নিজের যা আছে তাতে সন্তুষ্টি থাকি না।একটু উদাহরন দিচ্ছি,আমি ঘৃনা পোষন করছি না,ফেইসবুকের কথাই চিন্তা করুন,আমি ফেইসবুকে নেই,এটি হালাল নাকি হারাম সে ব্যাপারেও বলছি না।এটি আমাদের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে,এটি আমাদের অযথাই মানষিক চাপে ফেলছে এবং অকারনে মন খারাপ করে দিচ্ছে।কারন সেখানে যখন আপনি দেখেন,অন্যেরা বিলাসিতায় জীবন কাটাচ্ছে,তখন নিজের কোন একটা জিনিসটির অভাব সেটিই বার বার আপনার চোখে পড়ে,আপনার যা কিছু আছে সেদিকে নজরই দেন না।আমরা এতটাই বোকা হয়ে গেছি আমি কোথায় যাচ্ছি,কি খাচ্ছি কার সাথে ঘুরছি এগুলো মানুষকে দেখাতে হবে?আপনি এতই বোকা আপনার সবাইকে অনুসরন করে চলতে হবে?মানুষ সেলফি তুলে আর বলে "এই মাত্র খাবার খেলাম(ক্লিক)আপনার কি আক্কেল নেই?এইমাত্র খেলাম ক্যাপশন ব্যাপারটি আপনার কাছে মজাদার কিন্তু জানেন না এই সামান্য ব্যাপারটা কত প্রভাব রয়েছে।আমি আপনাদের বলছি হয়তো বেশি ভালো হবে,আমি বিশ্বাস করি মানুষ মিথ্যার মাঝে বেঁচে আছে।মেয়েরা এমনকি ছেলেরাও বর্তমানে এগুলো করে থাকে, এ অঙ্গভঙ্গির নাম কি? আমি এই আঙ্গভঙ্গিরর নাম জানিনা যারা এভাবে সেলফি তোলে এবং পরবর্তীতে ইন্টারনেটে আপলোড করে তাদের বলি, আপনার ছবি তুলতে এতই ভালো লাগে তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে ছবি তোলেন না কেন?যখন আপনার চোখে ময়লা লেগে থাকে?না প্রতিটি ছবি বাছাই করা।আপনি ছবি তুলেন যখন বেড়াতে যান বা কেনাকাটা করেন। আর নিজের সবটা দিয়ে বুঝাতে চান আমি আমার জীবন উপভোগ করছি।কিন্তু বাস্তবে আপনি উপভোগ করতে পারছেন না,আপনি আরেক জনের মতই সাদামাটা জীবন-যাপন করেন।আর আমি আপনাদের বলব যদি আপনি সুখী হয়েও থাকেন তবুও মানুষকে এগুলো দেখাবেন না।কারন আপনার বিলাসিতা দেখে মানুষ আপনাকে ঘৃনা করতে শুরু করবে।আপনার যা কিছু আছে তা তারা পেতে চাইবে,তারা চাইবে আল্লাহ যেন আপনার সুখ কেড়ে নেন এবং তাদের সুখী করেন।এমনকি বিবাহিত তাদের সাথেও এগুলো হচ্ছে কারন তারা এমন ভাবে জীবন যাপন করতে চায় যেটি তাদের নিজের জীবন নয়।আল্লাহ যদি আপনাকে প্রতিদিন 500 ডলার দান করেন তবে এমন একজন মানুষকে অনুসরণ করুন যে প্রতি সপ্তাহে ৫০০ ডলার আয় করে।কিন্তু আপনি এমন একজন মানুষকে অনুসরণ করেন যে প্রতি সপ্তাহে ৩০০০ ডলার আয় করেন।কিন্তু আল্লাহ আপনাকে সেটি দেননি।আল্লাহ বলেন, "আমি যে জিনিস তোমাকে দেয়নি সেটির ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন করা হবে না"।কেন আপনি নিজের জীবনকে নিজে হতাশা করে ফেলেছেন?আপনি সারাদিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর পথে যত নারী সামনে আসছে তাদের সবাইকে দেখে রূপের প্রশংসা করছেন।আর দিন শেষ বলেন আপনার স্ত্রীকে আমার ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। হ্যাঁ ভালো তো লাগবেই না আপনি অন্য নারীর দিকে যতক্ষণ তাকিয়েছেন তার দশ ভাগ যদি আপনার নিজের স্ত্রীর দিকে তাকাতেন আপনি অবশ্যই খুশি থাকতেন।কিন্তু আপনি এটা করেন না আপনি এমন কিছুর দিকে তাকিয়ে আছেন সেটি আপনার নিজের নয়।এমন কারো জীবন অনুসরণ করতে চান যেটি আপনার নিজের নয়।নিজের জীবনকে অনুসরণ করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সময় কাটাচ্ছেন,আপনি এতই অকর্মা আপনার জীবনে কি কিছুই নেই?আপনি কি করছেন,আপনি কি করেন না করেন তাতে অন্যের কি আসে যায়?আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই,আপনি কাজ করেন,আমার কোন মাথা নেই,কী খাচ্ছেন,আপনার খাবার ভালো নাকি খারাপ তাতে কিছুই যায় আসে না।অনেক বোন আছেন যারা আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখে মনে কষ্ট পান।বোন,আমি আপনাকে সত্যিটা বলছি আপনি যেমনটি আপনি এর চাইতে কখনো বেশি সুন্দরী হতে পারবেন না। জানেন কেন? কারন আপনাকে নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হয়েছে।যারা আপনাকে এভাবে পছন্দ করেন না তাদের ভিতরে সমস্যা।খুব সাধারন ব্যাপার আল্লাহ বলেছেন,"তুমি যেমনি হও আমি তোমাকে ভালোবাসি"।আল্লাহ বলেন তুমি যে রকম আছো আমি তোমাকে সেরকমই চাই।আল্লাহ বলেন,"আমি তোমাকে আমার ইচ্ছা মতো তৈরি করেছি,আমি চাই তুমি আবৃত থাকো।তোমার সৌন্দর্য শুধুমাত্র তোমার স্বামী এবং যাদেরকে তোমার জন্য হালাল হয়েছে তাদের তাহলে আপনার জীবনে এত হতাশা কেন?

বি.দ্র. :Main lecture link


Comments

Popular posts from this blog

এক খন্ড হতাশা

বিষাক্ত মাকড়সার জাল

মৃত্যু যন্ত্রনা (Death Pain)