Posts

কর্পোরেট কালচার

Image
কর্পোরেট কালচার [১] অফিসের বস তার সুন্দরী সেক্রেটারি মাহিমাকে ডেকে বলল,আমি এক সপ্তাহের জন্য  ট্যুরে থাইল্যান্ড যাচ্ছি। যাবে নাকি আমার সাথে? লেটস এনজয়! [২] মাহিমা তার স্বামী তামিমকে ফোনে বলল, তামীম আমি এক সপ্তাহের জন্য অফিসের কাজে থাইল্যান্ড যাচ্ছি, তুমি কোনো দুষ্টামি করো না কিন্তু,ভালো ভাবে থেকো ! [৩] তামীমর তার গার্লফ্রেন্ড ছোঁয়াকে ফোন করে বলল,আমার স্ত্রী দেশের বাইরে যাচ্ছে, ফ্রি আছি।তুমি এক সপ্তাহের জন্য চলে এসো। লেটস এনজয়! [৪] ছোঁয়া তার ছাত্র মাহমুদকে ফোন করে বলল, শোনো আমি এক সপ্তাহ পারিবারিক কাজে ভয়াবহ ব্যস্ত থাকব, তোমার এই সপ্তাহ ছুটি। তুমি এনজয় কর! [৫] মাহমুদ তার বাবাকে ফোন করে বলল, ‌'বাবা, তুমি তো আমাকে সময় দিতে পারনা। কাল থেকে আমার প্রাইভেট সাতদিনের জন্য বন্ধ। তুমি এই সাতদিন কোথাও যেতে পারবে না, তোমার সাথে অনেক মজা করব!'লেটস এনজয়! [৬] ছেলের ফোন পেয়ে বাবা অফিসের সেক্রেটারিকে বলল,'মাহিমা' আমার অন্য আর একটা জরুরি কাজ পড়ে গেছে।এই সপ্তাহে থাইল্যান্ড যাওয়া হচ্ছে না।ট্রিপটা ক্যানসেল করতে হচ্ছে।' [৭] মাহিমা তার স্বামী তামিমকে ফোনে বলল, শোনো আমার যাওয়া হচ্ছে না।ট্যু...

বোধ!

Image
আজকাল আমরা উচ্চবিত্তের পেছনে এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি যে,আমরা আমাদের রবকে ভূলে গেছি!একদিন যে আর অক্সিজেন নিতে পারব না একথাটাকেও ভূলে গেছি। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দিনশেষে একদিন যা অবধারিত সেটা হচ্ছে মৃত্যু।মৃত্যুকেও আজ আমরা ভূলে গেছি!আল্লাহর কাছে কি জবাব দেব একাথাটাকেও ভূলে গেছি।সবাই আমরা এমন একটা ফ্যান্টাসিতে বসবাস করতেছি বুঝি কিন্তু আমরা কেউই মানি না।আমরা সবাই অর্থ /উচ্চ ক্যারিয়ার/ ভালো চাকরি ইত্যাদি নিয়ে ভাবি এই অর্থে আমরা উচ্চবিত্ত জীবন-যাপন করব,সমাজে উচ্চতর করে তুলবে।আমরা শুধু নিজেদের এবং অন্যদেরকে কিছু উন্মাদ প্রতিযোগিতায় নিমগ্ন হয়ে আছি  যা শেষ পর্যন্ত আমাদের আখিরাতের জন্য কোন লাভ হবে না।আমরা কেউই ভাবি না, "মরলে কি জবাব দিবো আল্লাহর কাছে?"এই প্রশ্ন সম্পর্কে কেউ কিছু বলে না।পাশ করে বিদেশে যাবো, চাকুরী করবো,ব্যবসা করবো, অনেক টাকা হবে, প্রতিষ্ঠিত হব, সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করব,গাড়ি কিনব এটাই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য।এইসব প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে আমরা কী যে হারাচ্ছি!এটা কবরে না গেলে আমরা বুঝব না!আসুন,এই ফ্যান্টাসি থেকে সবাই বের হয়ে আসি।নিজের জীবনে, পরিবারে,সমাজে আসল জীবনের উদ্দেশ্য প্রত...

মৃত্যু যন্ত্রনা (Death Pain)

Image
মৃত্যু যন্ত্রনা নিয়ে কিছু কথা // [১] জীবনটা অনেকটা Oneiro মত।চোখের পাতা দুটি বন্ধ করলে পূরনো পাঁচ,পনেরো কিংবা পঁচিশ বছরের পুরোনো সময়গুলোকে মনে হয় যেন,এইতো অল্প ক’দিন আগের মাত্র।জীবনে চলার পথে কত কিছুর সম্মুখীন  হতে হয়, অস্থিরতা,ভাল না লাগা,অশান্তি,উদ্বিগ্নতায় ডুবে থাকতে রিতিমত বাধ্য হচ্ছি।কিন্তু মজার ব্যাপার হল সবই ক্ষণস্থায়ী।জীবনের কোনো দুঃখ,হতাশা,কান্না,যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয় না ঠিক তেমনি আনন্দগুলোও না। [২] দিনশেষে জীবনের অনুভূতিগুলোর কোন পরিবর্তন নেই। সেই Anxiety, pain,wailing,Oneiro হয়ত বিষয়বস্তু বদলে গেছে,কিন্তু জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিটুকুর মতই আমাদের জীবন।শত কর্মব্যস্ততা,চাপ,না পাওয়া তবুও মেনে নিতে হবে একদিন আর অক্সিজেন (O2) গ্যাস নিতে পারব না।পৃথিবীতে আসতে দশ মাস দশ দিন সময় লাগলেও পৃথিবী ছাড়াতে এক মুহূর্তই যথেষ্ট।বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী প্রতিটা মানুষের জন্য যা অবধারিত তা হচ্ছে মৃত্যু।কখন যে ডাক এসে যাবে মৃত্যুর আমরা কেউই জানি না।অনিশ্চয়তার জীবনে কত পরিকল্পনা ভবিষৎ নিয়ে।এই ভবিষৎ এর নিশ্চয়তা কি? [৩] মৃত্যুর চেয়ে বড় রিয়ালিটি কী হতে পারে?এই ফ্যান্টাসির জগৎ এ আমরা সবই জানি কিন্তু আমরা ক...

পর্নোগ্রাফি

Image
 পর্নোগ্রাফি শুধুই নারীকে বস্তুরূপে প্রদর্শন না। এটা শুধুই নারীর অবমাননা না। এর বিস্তৃতি আরও ব্যাপক, আরও বিধ্বংসী কারণ এটা অগোচরেই একদম ঘরের ভেতর প্রবেশ করতে পারে এবং সকলের অজান্তেই ধীরে ধীরে একটা তরতাজা জীবন ক্ষয় করে ফেলতে পারে। পর্নোগ্রাফির সাথে লাখ লাখ মানুষের রুটি-রুজি জড়িত, অর্থনীতি জড়িত। পর্ন ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লাভ করে। বছরে তারা লাভ করে ১৫ বিলিয়ন ডলার যেখানে হলিউডের লাভ ১০ বিলিয়ন ডলার! এর সাথে মানবপাচারের রয়েছে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। পর্নোগ্রাফি মানবপাচারের চাহিদা বৃদ্ধি করে যেখানে শিশু ও নারীরাই মূলত টার্গেট যাদের পরবর্তীতে ইউরোপ, আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে যৌনসাদীতে পরিণত করা হয়, কারণ পর্নোগ্রাফি যে বিকৃত যৌনাচার দেখায় সেটা স্বাধীন মানুষের ওপর মেটানোর সুযোগ কম। পর্নোগ্রাফির প্রচার প্রসারে রয়েছে বিশাল এক জনগোষ্ঠির প্রভাবশালী হাত। যেখানে এত বিশাল পরিমাণ লাভ জড়িত সেখানে বুঝতে আর অসুবিধা হয় না মানুষকে ধবংস করার কাজে মানুষই কেন এমন উঠেপড়ে লেগেছে! Lostmodesty এর কাজে তারা সন্তান, বাবা, ভাই, স্বামী বা স্ত্রী (অবাক করা মনে হলেও সত্যি যে মেয়েরাও পর্ন দেখে। এখানে উল্লেখযোগ...

মিউজিক ডিপ্রেশন

Image
অনেকেই আছেন যারা বলেন গান শুনে থাকেন ডিপ্রেশন দূর করার জন্য, গান শোনার মাধ্যমে নাকি তাদের ডিপ্রেশন দূর হয়ে থাকে, আসলেই কি তাই? আসলেই কি গান শুনলে ডিপ্রেশন দূর হয়? না গান শোনার মাধ্যমে কখনো ডিপ্রেশন দূর হয় না। এটা আপনি আজ হোক কাল হোক, নিজেই বুঝবেন ইন শা আল্লাহ্। সমুদ্রের পানি দিয়ে কখনো তৃষ্ণা নিবারণ করা যায়? সমুদ্রের পানি লবণাক্ত—এটি পান করলে তৃষ্ণা আরো বাড়ে। গানের ব্যাপারটিও এমন। গান, মিউজিক, বাদ্য এগুলো আল্লাহর স্মরণ থেকে মানুষকে উদাসীন করে রাখে—অনেকটা মাদকের ন্যায়। মদ বা নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করার পর খানিক সময় ব্যক্তি অনেকটা সেন্সলেস থাকে, ফলে সে সময়টা তার কাছে কিছুই মনে হয় না। এরপর সেই ঘোর কেটে গেলে আবার আগের মত হয়ে যায়। গানের ব্যাপারটিও অনেকটা এমন—গান শোনার সময়টি একটা ঘোরের মধ্যে কেটে যায়। কিন্তু এটি মনের মাঝে শূন্যতা, উদাসীনতা, উন্নাসিকতা, জড়তা ও স্মৃতিকাতরতা তৈরি করে।  ডিপ্রেশন দূর করার জন্য আপনার গানের প্রয়োজন নেই। আল্লাহ'কে প্রয়োজন, আল্লাহ্কে জানতে চেষ্টা করুন, ভালোবাসতে শিখুন; তাঁর ইবাদাতে ব্যস্ত থাকুন। যখন আপনি আল্লাহ্কে ভালোবাসতে শিখবেন, আখিরাত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব...

Social media makes us dpressed

Image
মোহাম্মদ হবলসের Lecture থেকে  সংগৃহীত : আমি সংক্ষিপ্ত না করে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি আপনাদের সাথে,হতাশা এবং অনান্য সমস্যা গুলি সম্পর্কে মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে বলতে চাই,আপনি আপনার নিজের মত জীবন-যাপন করুন,অন্যের জীবন অনুসরন করা থেকে বিরত থাকুন।এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা।আমরা অনেকে চিন্তা,দুঃখ-দর্দাশায় জর্জারিত।কারন আমরা এমনভাবে চলতে চাই যা আমাদের সাধ্যের বাইরে।আমরা আরেকজনের জীবন অনুসরন করতে চাই।আমরা আমাদের জীবনের বেশিভাগ সময় নষ্ট করি অন্যের জীবনের দিকে তাকিয়ে থেকে।আর নিজের যা আছে তাতে সন্তুষ্টি থাকি না।একটু উদাহরন দিচ্ছি,আমি ঘৃনা পোষন করছি না,ফেইসবুকের কথাই চিন্তা করুন,আমি ফেইসবুকে নেই,এটি হালাল নাকি হারাম সে ব্যাপারেও বলছি না।এটি আমাদের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে,এটি আমাদের অযথাই মানষিক চাপে ফেলছে এবং অকারনে মন খারাপ করে দিচ্ছে।কারন সেখানে যখন আপনি দেখেন,অন্যেরা বিলাসিতায় জীবন কাটাচ্ছে,তখন নিজের কোন একটা জিনিসটির অভাব সেটিই বার বার আপনার চোখে পড়ে,আপনার যা কিছু আছে সেদিকে নজরই দেন না।আমরা এতটাই বোকা হয়ে গেছি আমি কোথায় যাচ্ছি,কি খাচ্ছি কার সাথে ঘুরছি এগুলো মানুষকে...

ফ্যান্টাসি নামক ডিপ্রেশন

Image
বলা হয় এই যুগটা আধুনিকতার যুগ,এই যুগটা সভ্যতার চরম উৎকর্ষতার যুগ।কিন্তু এই যে 'সভ্যতা' এই যে 'চরম উৎকর্ষতা' নামক শব্দগুলোকে দিয়ে আমাদের কান ঝালা-পালা করে দেওয়া হয় সেই শব্দগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ কি? আমাদের (মুসলিমদের) কাছে সভ্যতার যে আলাদা একটা সংজ্ঞা আছে,উৎকর্ষের আলাদা মানে আছে সেটার সাথে আজকের সভ্যতার আর চরম উৎকর্ষের কি সম্পর্ক?।আমরা সবাই একটা ফ্যান্টাসির জগতে বাস করছি।যেখানে আদৌ কোন সুখ তো নাই,বরং হতাশা,দুঃখ,বিষাদ আর শুধু প্রতিযোগিতা। "কে কার চেয়ে বড় হতে পারে"। এই 8@9 ধরুন,"আপনার এক বন্ধুর দামী বাইক আছে,গাড়ী,অনেক টাকা-পয়সা আছে,আপনি সোশাল মিডিয়ায় তার চলাফেরা,বাইক,সুন্দর জামা-কাপড় দেখে দুঃখ পাচ্ছেন,হতাশায় ভূগছেন।আপনি মনে মনে এমন ভাবেন বা আফসোস করেন,"আমার যদি বাইক থাকত,আমার বাবা টাকাওয়ালা হলে আমিও এমন সোশাল মিডিয়ায় ছবি দিতাম" আল্লাহ বলেছেন,"তোমার যা আছে তুমি তার দিকে তাকাও আমি যা তোমাকে দেই নি সে বিষয়ে আমি কোন প্রশ্ন করা হবে না" আর আমরা কি করছি?অন্যের জীবন নিয়ে আফসোস করি।আপনি সুস্থ আছেন এর চেয়ে বড় নেয়ামত আর কি হতে পারে?হাসপাতালে জরু...