Posts

Showing posts from September, 2021

কর্পোরেট কালচার

Image
কর্পোরেট কালচার [১] অফিসের বস তার সুন্দরী সেক্রেটারি মাহিমাকে ডেকে বলল,আমি এক সপ্তাহের জন্য  ট্যুরে থাইল্যান্ড যাচ্ছি। যাবে নাকি আমার সাথে? লেটস এনজয়! [২] মাহিমা তার স্বামী তামিমকে ফোনে বলল, তামীম আমি এক সপ্তাহের জন্য অফিসের কাজে থাইল্যান্ড যাচ্ছি, তুমি কোনো দুষ্টামি করো না কিন্তু,ভালো ভাবে থেকো ! [৩] তামীমর তার গার্লফ্রেন্ড ছোঁয়াকে ফোন করে বলল,আমার স্ত্রী দেশের বাইরে যাচ্ছে, ফ্রি আছি।তুমি এক সপ্তাহের জন্য চলে এসো। লেটস এনজয়! [৪] ছোঁয়া তার ছাত্র মাহমুদকে ফোন করে বলল, শোনো আমি এক সপ্তাহ পারিবারিক কাজে ভয়াবহ ব্যস্ত থাকব, তোমার এই সপ্তাহ ছুটি। তুমি এনজয় কর! [৫] মাহমুদ তার বাবাকে ফোন করে বলল, ‌'বাবা, তুমি তো আমাকে সময় দিতে পারনা। কাল থেকে আমার প্রাইভেট সাতদিনের জন্য বন্ধ। তুমি এই সাতদিন কোথাও যেতে পারবে না, তোমার সাথে অনেক মজা করব!'লেটস এনজয়! [৬] ছেলের ফোন পেয়ে বাবা অফিসের সেক্রেটারিকে বলল,'মাহিমা' আমার অন্য আর একটা জরুরি কাজ পড়ে গেছে।এই সপ্তাহে থাইল্যান্ড যাওয়া হচ্ছে না।ট্রিপটা ক্যানসেল করতে হচ্ছে।' [৭] মাহিমা তার স্বামী তামিমকে ফোনে বলল, শোনো আমার যাওয়া হচ্ছে না।ট্যু...

বোধ!

Image
আজকাল আমরা উচ্চবিত্তের পেছনে এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি যে,আমরা আমাদের রবকে ভূলে গেছি!একদিন যে আর অক্সিজেন নিতে পারব না একথাটাকেও ভূলে গেছি। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দিনশেষে একদিন যা অবধারিত সেটা হচ্ছে মৃত্যু।মৃত্যুকেও আজ আমরা ভূলে গেছি!আল্লাহর কাছে কি জবাব দেব একাথাটাকেও ভূলে গেছি।সবাই আমরা এমন একটা ফ্যান্টাসিতে বসবাস করতেছি বুঝি কিন্তু আমরা কেউই মানি না।আমরা সবাই অর্থ /উচ্চ ক্যারিয়ার/ ভালো চাকরি ইত্যাদি নিয়ে ভাবি এই অর্থে আমরা উচ্চবিত্ত জীবন-যাপন করব,সমাজে উচ্চতর করে তুলবে।আমরা শুধু নিজেদের এবং অন্যদেরকে কিছু উন্মাদ প্রতিযোগিতায় নিমগ্ন হয়ে আছি  যা শেষ পর্যন্ত আমাদের আখিরাতের জন্য কোন লাভ হবে না।আমরা কেউই ভাবি না, "মরলে কি জবাব দিবো আল্লাহর কাছে?"এই প্রশ্ন সম্পর্কে কেউ কিছু বলে না।পাশ করে বিদেশে যাবো, চাকুরী করবো,ব্যবসা করবো, অনেক টাকা হবে, প্রতিষ্ঠিত হব, সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করব,গাড়ি কিনব এটাই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য।এইসব প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে আমরা কী যে হারাচ্ছি!এটা কবরে না গেলে আমরা বুঝব না!আসুন,এই ফ্যান্টাসি থেকে সবাই বের হয়ে আসি।নিজের জীবনে, পরিবারে,সমাজে আসল জীবনের উদ্দেশ্য প্রত...

মৃত্যু যন্ত্রনা (Death Pain)

Image
মৃত্যু যন্ত্রনা নিয়ে কিছু কথা // [১] জীবনটা অনেকটা Oneiro মত।চোখের পাতা দুটি বন্ধ করলে পূরনো পাঁচ,পনেরো কিংবা পঁচিশ বছরের পুরোনো সময়গুলোকে মনে হয় যেন,এইতো অল্প ক’দিন আগের মাত্র।জীবনে চলার পথে কত কিছুর সম্মুখীন  হতে হয়, অস্থিরতা,ভাল না লাগা,অশান্তি,উদ্বিগ্নতায় ডুবে থাকতে রিতিমত বাধ্য হচ্ছি।কিন্তু মজার ব্যাপার হল সবই ক্ষণস্থায়ী।জীবনের কোনো দুঃখ,হতাশা,কান্না,যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয় না ঠিক তেমনি আনন্দগুলোও না। [২] দিনশেষে জীবনের অনুভূতিগুলোর কোন পরিবর্তন নেই। সেই Anxiety, pain,wailing,Oneiro হয়ত বিষয়বস্তু বদলে গেছে,কিন্তু জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিটুকুর মতই আমাদের জীবন।শত কর্মব্যস্ততা,চাপ,না পাওয়া তবুও মেনে নিতে হবে একদিন আর অক্সিজেন (O2) গ্যাস নিতে পারব না।পৃথিবীতে আসতে দশ মাস দশ দিন সময় লাগলেও পৃথিবী ছাড়াতে এক মুহূর্তই যথেষ্ট।বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী প্রতিটা মানুষের জন্য যা অবধারিত তা হচ্ছে মৃত্যু।কখন যে ডাক এসে যাবে মৃত্যুর আমরা কেউই জানি না।অনিশ্চয়তার জীবনে কত পরিকল্পনা ভবিষৎ নিয়ে।এই ভবিষৎ এর নিশ্চয়তা কি? [৩] মৃত্যুর চেয়ে বড় রিয়ালিটি কী হতে পারে?এই ফ্যান্টাসির জগৎ এ আমরা সবই জানি কিন্তু আমরা ক...

পর্নোগ্রাফি

Image
 পর্নোগ্রাফি শুধুই নারীকে বস্তুরূপে প্রদর্শন না। এটা শুধুই নারীর অবমাননা না। এর বিস্তৃতি আরও ব্যাপক, আরও বিধ্বংসী কারণ এটা অগোচরেই একদম ঘরের ভেতর প্রবেশ করতে পারে এবং সকলের অজান্তেই ধীরে ধীরে একটা তরতাজা জীবন ক্ষয় করে ফেলতে পারে। পর্নোগ্রাফির সাথে লাখ লাখ মানুষের রুটি-রুজি জড়িত, অর্থনীতি জড়িত। পর্ন ইন্ডাস্ট্রি বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লাভ করে। বছরে তারা লাভ করে ১৫ বিলিয়ন ডলার যেখানে হলিউডের লাভ ১০ বিলিয়ন ডলার! এর সাথে মানবপাচারের রয়েছে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। পর্নোগ্রাফি মানবপাচারের চাহিদা বৃদ্ধি করে যেখানে শিশু ও নারীরাই মূলত টার্গেট যাদের পরবর্তীতে ইউরোপ, আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে যৌনসাদীতে পরিণত করা হয়, কারণ পর্নোগ্রাফি যে বিকৃত যৌনাচার দেখায় সেটা স্বাধীন মানুষের ওপর মেটানোর সুযোগ কম। পর্নোগ্রাফির প্রচার প্রসারে রয়েছে বিশাল এক জনগোষ্ঠির প্রভাবশালী হাত। যেখানে এত বিশাল পরিমাণ লাভ জড়িত সেখানে বুঝতে আর অসুবিধা হয় না মানুষকে ধবংস করার কাজে মানুষই কেন এমন উঠেপড়ে লেগেছে! Lostmodesty এর কাজে তারা সন্তান, বাবা, ভাই, স্বামী বা স্ত্রী (অবাক করা মনে হলেও সত্যি যে মেয়েরাও পর্ন দেখে। এখানে উল্লেখযোগ...

মিউজিক ডিপ্রেশন

Image
অনেকেই আছেন যারা বলেন গান শুনে থাকেন ডিপ্রেশন দূর করার জন্য, গান শোনার মাধ্যমে নাকি তাদের ডিপ্রেশন দূর হয়ে থাকে, আসলেই কি তাই? আসলেই কি গান শুনলে ডিপ্রেশন দূর হয়? না গান শোনার মাধ্যমে কখনো ডিপ্রেশন দূর হয় না। এটা আপনি আজ হোক কাল হোক, নিজেই বুঝবেন ইন শা আল্লাহ্। সমুদ্রের পানি দিয়ে কখনো তৃষ্ণা নিবারণ করা যায়? সমুদ্রের পানি লবণাক্ত—এটি পান করলে তৃষ্ণা আরো বাড়ে। গানের ব্যাপারটিও এমন। গান, মিউজিক, বাদ্য এগুলো আল্লাহর স্মরণ থেকে মানুষকে উদাসীন করে রাখে—অনেকটা মাদকের ন্যায়। মদ বা নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করার পর খানিক সময় ব্যক্তি অনেকটা সেন্সলেস থাকে, ফলে সে সময়টা তার কাছে কিছুই মনে হয় না। এরপর সেই ঘোর কেটে গেলে আবার আগের মত হয়ে যায়। গানের ব্যাপারটিও অনেকটা এমন—গান শোনার সময়টি একটা ঘোরের মধ্যে কেটে যায়। কিন্তু এটি মনের মাঝে শূন্যতা, উদাসীনতা, উন্নাসিকতা, জড়তা ও স্মৃতিকাতরতা তৈরি করে।  ডিপ্রেশন দূর করার জন্য আপনার গানের প্রয়োজন নেই। আল্লাহ'কে প্রয়োজন, আল্লাহ্কে জানতে চেষ্টা করুন, ভালোবাসতে শিখুন; তাঁর ইবাদাতে ব্যস্ত থাকুন। যখন আপনি আল্লাহ্কে ভালোবাসতে শিখবেন, আখিরাত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব...

Social media makes us dpressed

Image
মোহাম্মদ হবলসের Lecture থেকে  সংগৃহীত : আমি সংক্ষিপ্ত না করে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি আপনাদের সাথে,হতাশা এবং অনান্য সমস্যা গুলি সম্পর্কে মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে বলতে চাই,আপনি আপনার নিজের মত জীবন-যাপন করুন,অন্যের জীবন অনুসরন করা থেকে বিরত থাকুন।এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা।আমরা অনেকে চিন্তা,দুঃখ-দর্দাশায় জর্জারিত।কারন আমরা এমনভাবে চলতে চাই যা আমাদের সাধ্যের বাইরে।আমরা আরেকজনের জীবন অনুসরন করতে চাই।আমরা আমাদের জীবনের বেশিভাগ সময় নষ্ট করি অন্যের জীবনের দিকে তাকিয়ে থেকে।আর নিজের যা আছে তাতে সন্তুষ্টি থাকি না।একটু উদাহরন দিচ্ছি,আমি ঘৃনা পোষন করছি না,ফেইসবুকের কথাই চিন্তা করুন,আমি ফেইসবুকে নেই,এটি হালাল নাকি হারাম সে ব্যাপারেও বলছি না।এটি আমাদের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে,এটি আমাদের অযথাই মানষিক চাপে ফেলছে এবং অকারনে মন খারাপ করে দিচ্ছে।কারন সেখানে যখন আপনি দেখেন,অন্যেরা বিলাসিতায় জীবন কাটাচ্ছে,তখন নিজের কোন একটা জিনিসটির অভাব সেটিই বার বার আপনার চোখে পড়ে,আপনার যা কিছু আছে সেদিকে নজরই দেন না।আমরা এতটাই বোকা হয়ে গেছি আমি কোথায় যাচ্ছি,কি খাচ্ছি কার সাথে ঘুরছি এগুলো মানুষকে...

ফ্যান্টাসি নামক ডিপ্রেশন

Image
বলা হয় এই যুগটা আধুনিকতার যুগ,এই যুগটা সভ্যতার চরম উৎকর্ষতার যুগ।কিন্তু এই যে 'সভ্যতা' এই যে 'চরম উৎকর্ষতা' নামক শব্দগুলোকে দিয়ে আমাদের কান ঝালা-পালা করে দেওয়া হয় সেই শব্দগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ কি? আমাদের (মুসলিমদের) কাছে সভ্যতার যে আলাদা একটা সংজ্ঞা আছে,উৎকর্ষের আলাদা মানে আছে সেটার সাথে আজকের সভ্যতার আর চরম উৎকর্ষের কি সম্পর্ক?।আমরা সবাই একটা ফ্যান্টাসির জগতে বাস করছি।যেখানে আদৌ কোন সুখ তো নাই,বরং হতাশা,দুঃখ,বিষাদ আর শুধু প্রতিযোগিতা। "কে কার চেয়ে বড় হতে পারে"। এই 8@9 ধরুন,"আপনার এক বন্ধুর দামী বাইক আছে,গাড়ী,অনেক টাকা-পয়সা আছে,আপনি সোশাল মিডিয়ায় তার চলাফেরা,বাইক,সুন্দর জামা-কাপড় দেখে দুঃখ পাচ্ছেন,হতাশায় ভূগছেন।আপনি মনে মনে এমন ভাবেন বা আফসোস করেন,"আমার যদি বাইক থাকত,আমার বাবা টাকাওয়ালা হলে আমিও এমন সোশাল মিডিয়ায় ছবি দিতাম" আল্লাহ বলেছেন,"তোমার যা আছে তুমি তার দিকে তাকাও আমি যা তোমাকে দেই নি সে বিষয়ে আমি কোন প্রশ্ন করা হবে না" আর আমরা কি করছি?অন্যের জীবন নিয়ে আফসোস করি।আপনি সুস্থ আছেন এর চেয়ে বড় নেয়ামত আর কি হতে পারে?হাসপাতালে জরু...

বিষাক্ত মাকড়সার জাল

Image
পর্নোগ্রাফি এক বিষাক্ত মাকড়সার জালের নাম।যে জালে আটক হয়েছে কোটি কোটি যুবক-যুবতী সহ সকল স্তরের মানুষ। বর্তমান সময়ে যুবসমাজে যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম হলো পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুন।দুটি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একে অপরের পরিপূরক। একে সমস্যা বলার চেয়ে নীরব মহামারি বলা শ্রেয়। এসবের কথা বলা 'ট্যাবু'। তিলে তিলে শেষ হতে থাকলেও কারো সাথে যায় না বলা,একটুখানি সহায়তা পাওয়া।এমনই এক অদৃশ্য মহামারী এই জগতে বেশিরভাগ পদার্পণ করে বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পড়ে।প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগে মোবাইল,ইন্টারনেট সকলের হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তি জীবন সহজ,দ্রুত করে দিলেও নিয়ে এসেছে নানাবিধ অভিশাপ। ফলে খুব অল্প বয়সে হয়ে যাচ্ছে পর্নে হাতেখড়ি।নানা জরিপে উঠে এসেছে প্রথমবার পরিচিত হবার গড় বয়স ১১। সবচেয়ে বেশি আসক্ত ১২-১৭ বছর বয়সীরা।[১] যুব সমাজ বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পর্নের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে অশীতিপর বৃদ্ধ পর্যন্ত,ছেলে-মেয়ে সকলে। এর ভয়াল থাবা ছড়াতে কোনো বৈষম্য করে না।এটা যে কত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সেটা যেকোনো পরিসংখ্যানে স্পষ্ট।২০১৭ সালের একটি পর্নসাইটের*বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ ত...

হারাম রিলেশনশিপ/যিনা নিয়ে যত প্রশ্ন

Image
প্রশ্ন ১ঃ পূর্বের হারাম রিলেশনশিপের কথা পাত্র/পাত্রীকে কিংবা বিয়ের পর স্বামী/স্ত্রীকে বলা জরুরী কিনা? যখন কোন মানুষ তার অতীত গুনাহ থেকে তাওবা করে ফিরে আসে আল্লাহ তার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেন।অনেক ভাই বোনেরা পাত্র/পাত্রী দেখার সময় প্রশ্ন করেন আপনার অতীত কোন সম্পর্ক ছিলো কিনা?এই প্রশ্ন করাটাই অযৌক্তিক।ব্যক্তি যে গুনাহ গোপনে করেছে ও যে গুনাহ থেকে তাওবা করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করাই উচিত না। একজন মানুষ অতীতে কেমন ছিলো তা দিয়ে তার বর্তমান সময় বিবেচনা করা উচিত না।সাহাবা(রাঃ) গণ যখন কাফের ছিলেন তারা পাপাচারে লিপ্ত ছিলো,উনারা যখন ইসলাম গ্রহণ করলেন সাথে সাথে সকল গুনাহ ছেড়ে দিলেন।এক একজন হয়ে গেলেন আমাদের জন্য আদর্শ।যারা ঈমান আনার পূর্বে ছিলো হাজারো পাপাচারে লিপ্ত,তারা ঈমান আনার পর হয়ে গেলো উত্তম আখলাকের উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান। প্রশ্ন ২ঃ হারাম রিলেশনশিপ ছিলো কি না এই প্রশ্নের জবাবে কি উত্তর দিবেন? যদি হারাম রিলেশনশিপ পূর্বে থেকে থাকে,তাহলে সহজ ভাবে বলুন আপনার কোন হারাম রিলেশনশিপ নেই।নেই বললে মিথ্যা হবে না।কারণ অতীতে ছিলো এখন বর্তমানে নেই।কেউ যদি প্রশ্ন করে এখন তো নেই অতীতে ছিলো কি না?তখন শান্তভাবে উ...

মৃত্যু

Image
 মৃত্যু নিয়ে এতো সুন্দর লেখা আগে পড়িনি,একটু পড়েই দেখুন না! পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহর মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি -  "মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ দেখাবো না। আমি জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা করণীয় সবকিছুই যথাযথভাবে করবে।"  يُجَرِّدُونَنِي مِنْ مَلَابِسِي তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে ,يَغْسِلُونَني আমাকে গোসল করাবে ,يَكْفِنُونَنِي (তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে, يُخْرِجُونَنِي مِنْ بَيْتِي আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে, يَذهَبُونَ بِي لِمَسَكِنِي الجَدِيدِ (القَبْرُ) আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে, وَسَيَأتِي كَثِيرُونَ لِتَشْيِيْعِ الجَنَازَتِي আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে, بَلْ سَيَلْغِي الكَثِيرُ مِنهُم أَعْمَالَهُ وَمَوَاعِيدَهُ لِأَجْلِي دَفْنِي অনেক মানুষ আমাকে দাফন দেবার জন্য তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম কিংবা সভার সময়সূচী বাতিল করবে, وَقَدْ يَكُونُ الكَثِيرُ مِنهُم لَمْ يَفَكِّرْ في نَصِيحَتِي يَوماً مِنْ الأيّامِ কিন্তু দুঃখজনক...

কাঁচের দেয়ালে বন্দি

Image
জীবন অনেক ক্ষেত্রে অনেক কষ্টের হতে পারে তবুও একটা কথার উপর বিশ্বাস আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যাই,"কষ্টের পরই আসে সস্তি"।আমার মৃত্যুর পর কেউ আমাকে আর আমার নাম ধরে ডাকবে না।সবাই আমাকে এভাবে সম্বোধন করবে,"লাশ কি আসছে,লাশের জানাযা কয়টায়,লাশের গাড়ি আসতে কতক্ষন,লাশ আসছে?"যখন আমাকে সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে রাখা হবে কিছুদিন পর আমার গায়ের উপরের বাঁশ পচার আগে আমার শরীর পচন ধরবে।কোন এক সময় একদল Anthropologist আমার হাড়গোড় খুজে পাবে এবং এটাকে নিয়ে তারা ল্যাবে নিয়ে,হাতে হ্যান্ড গ্লোবস পরে,গবেষনা করে বের করবে এটা কয়েক যুগ আগের হাড়।আমার হাড় নিয়ে তারা সংবাদ মাধ্যেমে কথা বলবে,বিভিন্ন আর্টিক্যাল লিখবে,শিরনামে লিখবে,"১০০ বছরের পূরনো হাড়ের দেখা মিলল..."এটা নিয়ে গর্ব করবে।তারা তাদের প্রজন্মদের বলবে এটা আমাদের পূর্ব-পুরুষদের হাড়।হয়তো কোন এক জাদুঘরে প্রদর্শনী হিসেবেও কাঁচের দেয়ালে বন্দি রেখে দেয়া হবে।

এক খন্ড হতাশা

Image
  জীবনের নানা বাঁকে মুমীনের জীবনে হতাশ হবার মতো পরিস্থিতি প্রতি পদে পদেই আসতে পারে।দুঃখ কষ্ট জীবনেই অংশ।এসব এলেই হতাশ হয়ে পড়া কোন মুমীনের লক্ষণ নয়। এগুলো এলে কি করতে হবে তা-ও আল্লাহপাক বাতলে দিয়েছেন। আল-কোরআনে বলা হয়েছে, ❝মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে, এরপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নেয়ামত দান করি, তখন সে বলে, এটা তো আমি পূর্বের জানা মতেই প্রাপ্ত হয়েছি।অথচ এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না❞(সুরা আল জুমার, আয়াত: ৪৯) সুরা মায়েদার ৭৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ❝তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু" (সুরা ময়েদা, আয়াত ৭৪) সূরা ইউনুস ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ❝আর যখন মানুষ কষ্টের সম্মুখীন হয়, শুয়ে বসে, দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। তারপর আমি যখন তা থেকে মুক্ত করে দেই, সে কষ্ট যখন চলে যায় তখন মনে হয় কখনো কোন কষ্টেরই সম্মুখীন হয়ে যেন আমাকে ডাকেইনি। এমনিভাবে মনঃপুত হয়েছে নির্ভয় লোকদের যা তারা করেছে❞(সুরা ইউনুছ, আয়াত ১২) বলুনঃ ❝আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে তোমরা উপাস্য মনে কর, তাদেরকে আহবান কর। অথচ ওরা তো...

নিজেকে ধংস করছি না তো!

Image
আজকাল আমরা উচ্চবিত্তের পেছনে এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি যে,আমরা আমাদের রবকে ভূলে গেছি!একদিন যে আর অক্সিজেন নিতে পারব না একথাটাকেও ভূলে গেছি। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দিনশেষে একদিন যা অবধারিত সেটা হচ্ছে মৃত্যু।মৃত্যুকেও আজ আমরা ভূলে গেছি!আল্লাহর কাছে কি জবাব দেব একাথাটাকেও ভূলে গেছি।সবাই আমরা এমন একটা ফ্যান্টাসিতে বসবাস করতেছি বুঝি কিন্তু আমরা কেউই মানি না।আমরা সবাই অর্থ /উচ্চ ক্যারিয়ার/ ভালো চাকরি ইত্যাদি নিয়ে ভাবি এই অর্থে আমরা উচ্চবিত্ত জীবন-যাপন করব,সমাজে উচ্চতর করে তুলবে।আমরা শুধু নিজেদের এবং অন্যদেরকে কিছু উন্মাদ প্রতিযোগিতায় নিমগ্ন হয়ে আছি  যা শেষ পর্যন্ত আমাদের আখিরাতের জন্য কোন লাভ হবে না।আমরা কেউই ভাবি না, "মরলে কি জবাব দিবো আল্লহর কাছে?"এই প্রশ্ন সম্পর্কে কেউ কিছু বলে না।পাশ করে বিদেশে যাবো, চাকুরী করবো,ব্যবসা করবো, অনেক টাকা হবে, প্রতিষ্ঠিত হব, সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করব,গাড়ি কিনব এটাই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য।এইসব প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে আমরা কী যে হারাচ্ছি!এটা কবরে না গেলে আমরা বুঝব না!আসুন,এই ফ্যান্টাসি থেকে সবাই বের হয়ে আসি।নিজের জীবনে, পরিবারে,সমাজে আসল জীবনের উদ্দেশ্য প্রতি...

আমরা রুকু এবং সিজদায় যা যা বলি সেটা নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন কি?

Image
আমরা রুকু এবং সিজদায় যা যা বলি সেটা নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন কি? আমরা রুকুতে বলি, "সুবহানা রব্বিয়াল আযীম"। অর্থঃ"আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনি সবচেয়ে শক্তিধর।" আমরা সিজদায় বলি, "সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা". অর্থঃ''আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনার মাকাম সবচেয়ে উঁচু"। নামাজের মধ্যে শারীরিক দিক থেকে সবচেয়ে নড়বড়ে এবং দুর্বল অবস্থানটা হচ্ছে "রুকু"।রুকুতে থাকা অবস্থায় কেউ যদি নামাজরত বান্দাকে হালকা করেও একটা ধাক্কা দেয়, সে ধপাস্‌ করে মাটিতে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। চমৎকার ব্যাপারটা হচ্ছে, আমরা যখন নামাজে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকি, তখন বলি "আল্লাহ আপনি সবচেয়ে শক্তিশালী!" আবার, আমরা যখন নামাজের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে থাকি, তখন আল্লাহকে বলি যে, "আল্লাহ আপনি সবচেয়ে উঁচু!"  সুবহানাল্লাহ! কেবলমাত্র এই কনসেপ্টটা আমাদের নামাজকে অন্য আরেক ডাইমেনশানে নিয়ে যায়! নামাজ পড়তে পড়তে যেখানেই মন চলে যাক না কেন, রুকু আর সিজদাহ দেওয়ার সময় মনে পড়ে যায় যে, "আল্লাহ সবচেয়ে শক্তিধর এবং আল্লাহই সর্বোচ্চ!...

দোয়া বন্ধ করবেন না কখনো!

Image
আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে দুআ করা, যেন তিনি আমাদেরকে বিপদ থেকে বের করে আনেন। আল্লাহর দেওয়া বিপদরূপী এই আসমানি চিকিৎসাকে আমরা সেই শিশুর দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করব, যে জানে তার বাবা আসলে তার কল্যাণকামী। এমনটা করতে পারলে আল্লাহর প্রতি আপনার সুধারণা জন্মাবে।  আর আপনি দৃঢ়বিশ্বাস করবেন যে, আল্লাহ তাআলা আপনার জন্য যা যা নির্বাচন করেছেন, সবই কল্যাণকর। আপনি নিজের জন্য যা চাচ্ছেন, তা কল্যাণকর নাও হতে পারে। এমন হলে একমুহূর্তের জন্যও আল্লাহর প্রতি আপনার কোনো মন্দ ধারণা তৈরি হবে না। বরং বিপদের মুহূর্তে আপনি আল্লাহর কাছে ছুটে যাবেন এবং তাকে ভালোবাসবেন। এই ব্যাপারটি মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি ব্যথা পান এটা আল্লাহ তাআলা চান না। বরং তিনি চান আপনি যেন পবিত্র হয়ে যান। কারণ গুনাহের ঝুঁকি এবং অন্তরের কলুষতার বিপদ কত বেশি, সে সম্পর্কে তিনি খুব ভালোভাবেই অবগত।

আপনি আপনার ভাইয়ের মাংস খেতে পচ্ছন্দ করেন?

Image
গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ দোষারোপ করা, কুৎসা রটনা, পেছনে সমালোচনা করা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা, কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষগুলো অন্যেও সামনে তুলে ধরা। ইসলামি শরিয়তে গীবত হারাম ও কবিরা গুনাহ। কল্পনা করুন,আপনি আপনার সারা জীবন আল্লাহর ইবাদত,রোজা,প্রার্থনা,প্রচুর পরিমাণে দাতব্য দান,এমনকি হজ্ব করেছেন এবং এটি সব নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু কেন? কারণ আপনি কেবল অন্যদের সম্পর্কে আপনার মুখ বন্ধ রাখতে পারেননি! নবী মুহাম্মদ (সা))বলেছেন: "ব্যভিচারের চেয়ে গীবত করা আরও মারাত্মক এবং আল্লাহ যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যায়কারী তাকে ক্ষমা না করে ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করবেন না" মুসলমান এক ভাই আরেক ভাইয়ের গীবত করবে না এবং তাদের দোষ খুঁজবে না,কারন যদি কেউ কারো দোষ খোঁজেন,আল্লাহ তার দোষ খুঁজবেন।আর আল্লাহ যদি কারো দোষ খোঁজেন, তিনি তাকে তার বাড়িতে (এমনকি সে লুকিয়ে রাখলেও) নম্র ব্যবহার করে। "এবং একে অপরকে গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না বা গালি দেবেন না। আপনারা কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পছন্দ করবেন? আপনি এটিকে ঘৃণা করবেন।" (49:12)